সর্বশেষ আপডেট : ১৪ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

রাতের পর রাত রাস্তার ধারে পড়ে ছিলেন বৃদ্ধা, হল না শেষরক্ষা

শহরের বুকে চরম অমানবিক ছবি। বৃষ্টির রাতে রাস্তার ধারে পড়ে বৃদ্ধা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হল বৃদ্ধার। সিঁথির পেয়ারাবাগান এলাকায় রাস্তার ধারে পড়ে ছিলেন ৭০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা। বুধবার রাতে খবর যায় তৃণমূল সাংসদ তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর শান্তনু সেনের কাছে। তাঁর তত্ত্বাবধানেই বৃদ্ধাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সকালে আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার বোনেরা বের করে দিয়েছিলেন তাঁকে। তাঁর মেয়েও ফিরে তাকাননি মায়ের দিকে।

গতকাল প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ওই বৃদ্ধাকে রাস্তার ধারে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সিঁথি থানায় খবর দেন শান্তনু সেন। বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করে জানা যায় তিনি চিৎপুর এলাকার বাসিন্দা। এরপর তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসা হয়। শান্তনু সেন জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিজে যান ওই বৃদ্ধার বাড়িতে। গিয়ে দেখেন অমানবিক ছবি। মেঝেতেই শুয়ে আছেন বৃদ্ধা। তাঁর বোন জানান, তাঁর মা ও দিদি দু’জনেই শয্যাশায়ী। তাঁদের পক্ষে দু’জনের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই মেয়ের বাড়ি পাঠাতে দমদম স্টেশনে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বৃদ্ধা মেয়ের বাড়ি যেতে চাননি বলেই দাবি তাঁর বোনের। শান্তনু সেন জানান, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে আরজি করে পাঠানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। অনুমান করা হচ্ছে, দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে থাকায়, জল-খাবারও জোটেনি তাঁর। তাই অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

জানা গিয়েছে, গত বছর লকডাউনের সময় থেকেই নদিয়ায় মেয়ের বাড়িতে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। দিন কয়েক আগে তাঁকে সেখান থেকে ট্রেনে চাপিয়ে চিৎপুরের এই বাড়িতে রেখে যান বৃদ্ধার মেয়ে। এরপর বৃদ্ধার বোন তাঁকে মেয়ের বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন। মেয়ের বাড়ি পাঠাতে দমদম স্টেশন অবধি নিয়ে যান। সেখানেই রেখে চলে আসেন। মেয়ের বাড়ির অত্যাচারের কথা মনে করেই ওই বৃদ্ধা নদিয়া যেতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকে আর খোঁজ রাখেনি কেউ। দমদম স্টেশনেই পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। গতকাল রাতে সম্ভবত কয়েকজন তাঁকে সিঁথিতে রেখে যান। এরপরই এই অমানবিক ছবি চোখে পড়ে। কিন্তু যতক্ষণে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ততক্ষণে প্রাণশক্তি অনেকটাই শেষ হয়ে এসেছে বৃদ্ধার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: